ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ‘গত একমাস ধরে পেশাদার অপরাধীদের (সিঁধেল চোর, ছিনতাইকারী, মলম ও অজ্ঞানপার্টি) বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চলছে ।
আজকে পর্যন্ত ৬০০ জন পেশাদার অপরাধী গ্রেফতার হয়েছে। ঈদের আগে যেন তাদের জামিন না হয়, সেই ব্যবস্থার জন্য চেষ্টা করব। পেশাদার অপরাধীরা জেলে থাকলে ফাঁকা ঢাকায় চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা তেমন একটা ঘটবে না।’
ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ফাঁকা ঢাকাতে উঠতি বয়সের অনেক তরুণ মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের প্রতিযোগিতা করেন। আমি এ বিষয়ে কঠোরভাবে বলছি, এ ধরনের প্রতিযোগিতা করবেন না। ব্যারিকেট তৈরি করে আঁকাবাঁকা (জিগজ্যাক) গতিতে গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা করব।’
পশুর হাটের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা শহরে খোলা মাঠ তেমন একটা নেই। তারপরও ঢাকাবাসীর সুবিধার্থে আমাদের দুই মেয়র ২১টি পশুর হাটের ব্যবস্থা করেছেন। পশুর হাট ম্যানেজ করেই যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা সফলতার সঙ্গে তা করে যাচ্ছি। গাবতলীর হাটে দেখবেন পশুর জন্য গাড়ি চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। হাটের নিরাপত্তার সিসি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করেছি। প্রতিটি হাটে হাসিল ঘরে টাকা দেওয়ার জন্য বাইরে ব্যবস্থা করেছি।’
‘প্রতিটি হাটে জাল নোট শনাক্তের জন্য মেশিনের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া পুলিশ ও ব্যাংকের কর্মকর্তা রাখা হয়েছে। হাটগুলোতে ব্যবসায়ীদের নগদ টাকা নিয়ে যেন বাড়ি যেতে না হয় সেজন্য অস্থায়ী ব্যাংকের ব্যবস্থা করেছি। অজ্ঞান ও মলমপার্টির দৌরাত্ম্য যেন না থাকে সেজন্য সচেষ্ট আছি। কোরবানির ঈদ এলে জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু হয়। এ বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সতর্ক। গত পরশুদিন ডিবি পুলিশ জাল ২ কোটি টাকার নোটসহ একটি চক্রকে গ্রেফতার করেছে’,- বলেন তিনি।