গ্রাফিতি ও গান প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে ভূমিকা রেখেছিল আন্দোলনে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শিল্পীদের অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ওই আন্দোলনের পটভূমিতে ৪০টির বেশি গান প্রকাশিত হয়। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল হান্নান হোসাইন শিমুলের ‘আওয়াজ উড়া’, মুহাম্মদ সেজানের ‘কথা ক’, পারসার ‘ভুলে যাই আমি’-সহ আরও কয়েকটি গান।
এবার সেই গানগুলো নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করছে শিল্পকলা একাডেমি, যার প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘আওয়াজ উড়া’। একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলার নন্দনমঞ্চে এটি অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে র্যাপার হান্নানের সঙ্গে গান পরিবেশন করবেন আহমেদ হাসান সানি, ব্যান্ড ‘এফ মাইনর’, ‘ডিমোক্রেজি ক্লাউনস’। নিজেদের ভাষায় গান পরিবেশন করবেন লুম্বিনী চাকমা, ধর্মচন্দ্রা তঞ্চঙ্গ্যা, ডিউক মুরমু ও সমাপন স্মাল। এছাড়া অংশ নেবেন শিল্পকলা একাডেমির কণ্ঠশিল্পীরাও।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী মোহাম্মদ আশরাফুল এবং বিশেষ অতিথি থাকবেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত তাহির জামান প্রিয়র মা সামসি আরা জামান। সভাপতিত্ব করবেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহ্জাবীন রহমান।
বিপ্লবের সময়ে হান্নান ‘আওয়াজ উডা’ শিরোনামের গান গেয়ে জেলে যান। তবে অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্যে ‘উডা’ শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে কেন ‘উড়া’ হলো?
এ বিষয়ে মেহ্জাবীন রহমান ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আন্দোলনের সময় র্যাপার হান্নানের ‘আওয়াজ উডা’ শিরোনামে যে গানের মাধ্যমে প্রতিবাদী আওয়াজ তোলা হয়েছিল, সেটিকে এবার আরও ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছি। এই ভাবনা থেকেই আয়োজনের নাম রাখা হয়েছে ‘আওয়াজ উড়া’।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরুর সময় র্যাপার হান্নান ‘আওয়াজ উডা’ গানটি প্রকাশ করেন, যা ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রচুর আলোচনার জন্ম দেয়। পরে নারায়ণগঞ্জ থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং ২ দিনের রিমান্ডে নেয়। সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।