কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: মা ও শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে প্রতিষ্ঠা করা হয় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র।
সেই থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এবার ঈদুল ফিতরের ছুটিতেও এ চিকিৎসা কেন্দ্রে অন্তত অর্ধশত মা ও শিশুকে দেওয়া হয়েছে চিকিৎসা সেবা। জনবল ও অবকাঠামোগত নানা সংকট উপেক্ষা করে এমন নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় প্রশংসা কুড়াচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রটি।
চিকিৎসা কেন্দ্র সূত্র জানায়, গত ২৮ মার্চ থেকে ঈদ ও সাধারণ ছুটিসহ মোট ৯ দিনের ছুটির এ সময়ে কেন্দ্রে প্রসবোত্তর ও গর্ভকালীন সেবা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সাধারণ রোগী ও শিশু- কিশোর চিকিৎসাসেবা দিয়েছে চিকিৎসা কেন্দ্রটি। দেওয়া হয়েছে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ।
ঈদের ছুটিকালীন এসব জরুরি সেবা কার্যক্রম তদারকি করেন মেডিকেল অফিসার (MCU-FP)মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র কুমারখালীর ডাঃ মোঃ তৌহিদুজ্জামান রিফাত,পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা মোছাঃ ফাহমিদা ইয়াসমিন,দাইনার্স মোছাঃ তাসলিমা খাতুন,ড্রাইভার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,পিওন কাম চৌকিদার মোঃ রবিউল ইসলাম,পরিচ্ছন্ন কর্মি মিজানুর রহমান ও লাল বাবু বাঁশফোড়। দীর্ঘ এ ছুটির মাঝেও এমন নিরবিচ্ছিন্ন চিকিৎসাসেবা পেয়ে খুশি সেবাভোগীরা।
এ ব্যাপারে প্রসূতি সেবা নিতে আসা কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, ঈদ বা কোনো উৎসব এলেই অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তার পাওয়া কঠিন। প্রসূতি রোগীদের চিন্তা আরও বেশি। কারণ এসব সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার বা সংশ্লিষ্টদের না পাওয়া গেলে মোটা অংকের টাকায় বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে হয়। সেখানে সবার আগে জানানো হয়, সিজার করতে হবে। কিন্তু এখানে এলে নরমাল ডেলিভারির সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়। ঈদের এই ছুটিতে ডেলিভারিসহ অন্যান্য সেবা মিলছে, এটি সবার জন্য স্বস্তির বিষয়।
চিকিৎসা কেন্দ্রটির পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মোছাঃ ফাহমিদা ইয়াসমিন বলেন, ঈদ আনন্দ করতে হবে, আবার সবাইকে ভালোও থাকতে হবে। সবাই যদি সব ভুলে আনন্দ উপভোগে ছুটি কাটায় তাহলে সমস্যায় আক্রান্তরা কীভাবে বাঁচবেন? এসব বিষয় মাথায় রেখে আমরা দিনে রাতে যার যখন যেভাবে ডিউটি ছিলো পালন করেছি। ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশনা অনুযায়ী নিরবিচ্ছিন্ন চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
এ ব্যাপারে কুমারখালী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (MCU-FP) ডাঃ মোঃ তৌহিদুজ্জামান রিফাত বলেন, অল্প জনবলের এ হাসপাতালে দু’একজন ছুটি কাটাতে গেলে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়। এর মাঝেও তিন শিফটে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, নার্স, দাই নার্স,ড্রাইভার,পিওন,পরিচ্ছন্ন কর্মি দিয়ে রোস্টার করে এবারের ঈদে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখা হয়েছে। আমাদের মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে নরমাল ডেলিভারিতে সুনাম রয়েছে। ঈদের ছুটিতেও এ সেবা ২৪ ঘণ্টা চালু ছিল।