গতকাল শনিবার (১ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এবং জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গ্রপের (এসডিজি) চেয়ার আমিনা জে মোহাম্মদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনেক উন্নয়ন সংস্থা রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি—সব উন্নয়ন সংস্থার রাজনীতিতে নয়, উন্নয়নের বিষয়ে মনোনিবেশ করা উচিত। সময়মতো নির্বাচন হবে। আমরা একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’
বৈঠকে জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা, প্যারিস চুক্তি এবং বর্ধিত অর্থায়ন, প্রযুক্তি বিনিময় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ন্যায্য রূপান্তরে আন্তর্জাতিক সংহতির জন্য বিশ্বব্যাপী পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই। দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন—এগুলো আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ।’
আপাতদৃষ্টিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর কথা উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘জনগণের প্রতি তাদের আস্থা নেই। ষড়যন্ত্রকারীরা সব সময় ছিল, এখনও আছে। তবে, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষতির বোঝা উন্নত দেশগুলোর ভাগাভাগি করে বহন করা উচিত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর এসডিজি অর্জনের জন্য অর্থ ও প্রযুক্তির প্রয়োজন, কিন্তু উন্নত দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত খুবই অসন্তোষজনক। টাকা বা প্রযুক্তি আসছে না।’
ড. মোমেন বলেন, ‘উন্নীত হওয়া দেশগুলোকে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া উচিত নয়।’
পরে ড. মোমেন ও জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মোহাম্মদ ‘রোড টু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস সামিট ২০২৩’-শীর্ষক একটি সেমিনারে অংশ নেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন।