ঢাকাশুক্রবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৭:৪৭
আজকের সর্বশেষ সবখবর

“বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের শুনানিতে হাজির হলেন না “সৈয়দ ফারুক আহম্মদ “

সত্যের কন্ঠ
এপ্রিল ২৪, ২০২৫ ১২:৫৯ অপরাহ্ণ
পঠিত: 292 বার
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিনিধি:

পাট অধিদপ্তরে দায়িত্ব রত বাংলাদেশ সরকারের উপ-সচিব সৈয়দ ফারুক আহম্মদ তার মৃত পিতাকে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কল্যাণ ট্রাস্টে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকা ভুক্ত করে নানান বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। কথিত হিসাব মতে তার বাবা মীর শওকত আলীর মৃত্যুর ১১ মাস ৫ দিন পরে জন্ম হয়। সৈয়দ ফারুক আহম্মদের পিতার মৃত্যুর পরে কি ভাবে সন্তানের জন্ম হয় প্রশ্ন সচেতন মহলের।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও মীর শওকত আলী শহীদি খেতাব অর্জন করেছেন। গ্রাম কাশিয়ানী, জেলা- গোপালগঞ্জ, গেজেট নং ৯০৩। মীর শওকত আলীর পৈত্রিক বাড়ি ভারতবর্ষে । ১৯৭১সালের পূর্বে হিন্দু বাড়ি বিনিময় করে এদেশে কাশিয়ানীতে চলে আসেন এবং স্থানীয় মেয়ে নাসিমা বেগমকে বিবাহ করেন। নাসিমা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে হয় মীর শওকত আলীর সাথে। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ, যুদ্ধ শুরু হলে মীর শওকত আলী ও তার পিতা মুছা আলী ভারতবর্ষে চলে যায়। জানা যায়, ভারতে মীর শওকতের চাচাদের সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ হয়। তার চাচারা মীর মুছা আলী ও মীর শওকত আলী দুজনকে মেরে ফেলে। তৎকালীন বিএনপি ছাত্রনেতা হিসেবে জিয়া হলে ,সৈয়দ ফারুক আহাম্মেদ দাপটের সাথে চলাফেরা করতেন বলে জানা যায়।

সৈয়দ ফারুক আহম্মদ খুবই দুরন্ত ব্যক্তি। টাকা ও রাজনৈতিক জোর খাটিয়ে জাল-জালিয়াতি মাধ্যমে মৃত বাবাকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধার কোঠায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ নিয়েছিল। পদ্মাসেতুর জন্য ভূমি অধিদগ্রহনের সময় মাদারীপুর ভূমিঅধিগ্রহন শাখায় দায়িত্বে (এলও) থাকা কালে ঘুষের বাণিজ্য করে গড়ে তুলেছিল অবৈধ ভাবে সম্পদের পাহাড়। জড়িয়েছে বহু নারীকেলেঙ্কারী ও বিবাহের সঙ্গে । ২২তম বিসিএস ক্যাডারের ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ টাকার জোর খাটিয়ে পিতার , মাতার, ও নিজ নামে সড়ক ও ফটক তৈরিসহ নানা অনিয়ম করেই চলেছেন।

একজন বিসিএস ক্যাডার অমুক্তিযোদ্ধার সন্তানের এমন কর্মকাণ্ডের এলাকাবাসী ও প্রকৃত মৃক্তিযোদ্ধের ভিতরে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছেন। কেউ কিছু বললে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিবেন বলে ভয় ভীতি দেখান। এলাকাবাসী বলেন প্রকৃত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা একজনই ছিলেন নাম -শাহাবুদ্দিন , পিতা-বাকামিয়া, মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং-২৭৬১ তার নামে এলাকাতে একটি ক্লাবও আছেন।

সৈয়দ ফারুক আহম্মদ তার বাবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নামে সড়ক ও ফটক নামকরণ পরিবর্তন এবং মুক্তিযোদ্ধার গেজেট থেকে নাম বাতিলের জন্য মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মাননীয় সাবেক প্রধান মন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন। মুজিবুর রহমান মোল্লা এবং এ বিষয়ে তিনি হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন যার মামলা
নং ৬৯৭৩/২১ ইং এবং গত ২ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের নিকট মীর শওকত আলীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাব বাতিল প্রসঙ্গে অভিযোগ করেন সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কল্যাণ ট্রাস্ট ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ ইং সালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সরজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জের কাছে পাঠান।

কিন্তু ২০২৫ ইং সাল পর্যন্ত এখনো তদন্তের প্রতিবেদন কেন দেওয়া হলো না! মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট কেন জবাব চাইলেন না! কি এর রহস্য! গণমাধ্যম কর্মীরা এই বিষয়ে কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে কেউ তা সঠিক জবাব দিতে পারেনি। এর সাথে তাহলে কি তারাও জড়িত! পুনরায় ৯ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে বিষয়-তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ জন্য পাঠান । গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে, কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিবেদনে লেখা আছে নাসিমা বেগম ভাতা নিচ্ছেন কিন্তু ৫ নং কাশিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৬ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে নাসিমা বেগম মৃত্যুবরণ করেন বলে জানা যায়।

সৈয়দ ফারুক আহাম্মেদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কাছে ১৩/৩/২০২৪ ইং তারিখে মৃত মীর শওকত আলীর ভাতা নিজ নামে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন । সেখানেও আবেদন ফরমটি অসম্পূর্ণ লেখা। মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের তারিখ ও সময়, ট্রেনিং গ্রহণ করার স্থান, সেক্টর নং, সেক্টর কমান্ডারের, গ্রুপ কমান্ডারের নাম, শিক্ষকতা যোগ্যতা , গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি পূরণ করা হয়নি! মীর শওকত আলীকে বলা হয়েছে পেশা শিক্ষক কিন্তু সে কোথায় শিক্ষকতা করেছে সে সার্টিফিকেটই কোথায়? কেনই বা নেয়নি বাংলাদেশ কল্যাণ ট্রাস্ট ,ফর্মটি কেন অসম্পূর্ণ ?

মীর শওকত আলী শহীদ হয়েছে শহীদি সার্টিফিকেট, মৃত্যু সনদ কবে মৃত্যুবরণ করলেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কারোই জানা নেই । মীর শওকত আলীর স্ত্রী ১২/১০/১৯৯৭ ইং তারিখে রাষ্ট্রীয় সম্মানী ,ভাতার জন্য আবেদন করেন । উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে ফাইলটি গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরজমিনে তদন্ত করানো হয়। এবং প্রতিবেদন মতে জানা যায় শহীদ মীর শওকত আলী ১৬/৯/১৯৭১ ইং সালে যশোর জেলার মহেশপুরে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন। সৈয়দ ফারুক আহম্মদের জন্ম ২১ আগস্ট ১৯৭২ ইং সালে কিন্তু তার জন্ম এবং তার বাবার মৃত্যু সময়ের মধ্যে পার্থক্য ১১মাস ৫ দিন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাবার মৃত্যুর ১১ মাস ৫ দিন পরে কীভাবে তার জন্ম হয়।

তাহলে কে তার প্রকৃত বাবা ?

কীভাবে পেলেন মুক্তিযোদ্ধার কোটায় চাকরি! একাধিকবার তার অফিসে গণমাধ্যম ও মানবাধিকার, কর্মীরা এই বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য অফিসে গেলে থেকেও সে না করে দেন অফিসে নেই ফোন করলে বলেন কি বিষয়ে কথা বলবেন যখন ওনার বাবার বিষয়ে কথা বললে তখন ফোনটি কেটে দেন এবং নাম্বার ব্লক করে দেন গণমাধ্যম কর্মীরা একাধিকবার যাওয়ার পরে ভাগ্যক্রমে দেখা মিলে। সৈয়দ ফারুক আহম্মদ এর কাছে বাবার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলেন কোন বিষয়ে বক্তব্য দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। এতেও প্রমাণিত হয়ে যায় ঘটনাটি সত্য।

২০২১ ইং সালে একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় , শিরোনাম ভুয়া মুক্তিযুদ্ধের সন্তান বিসিএস ক্যাডার।সৈয়দ ফারুক আহম্মদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। এই বিষয়ে জানতে চাইলে কোন বক্তব্য দেবেনা বলে এড়িয়ে যান। ১৬ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে রাষ্ট্রের স্বার্থে মোঃ মাসুম পারভেজ গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের নিকট দরখাস্ত দেন।

বিষয়- মীর শওকত আলীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা খেতাব বাতিল ও রাষ্ট্রীয় অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে। বিষয়টি আমলে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আগামী ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে সকাল ১১:০০ ঘটিকার সময় শুনানিতে হাজির হওয়ার নোটিশ প্রেরণ করেন ,গত ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে সকাল ১০.৩০ সময় দরখাস্তকারী মোঃ মাসুম পারভেজ ও গণমাধ্যম সহকর্মীরা বাংলাদেশ কল্যাণ ট্রাস্টে হাজির হন বারোটা পর্যন্ত বসে থেকেও “সৈয়দ ফারুক আহম্মদ হাজির হননি বাংলাদেশ কল্যাণ ট্রাস্ট এর কর্মকর্তা
অভিযোগকারী স্বাক্ষর ও সাক্ষী গণের সাক্ষ্য রেখে দেন এই বিষয়ে মোঃ জামিল আহাম্মেদ অতিরিক্ত পরিচালক কল্যাণ ট্রাস্ট আলোচনা করে জানিয়ে দেবেন বলেন। সৈয়দ ফারুক আহম্মদ শাকদিয়ে মাছ ঢাকতে পারবেনা বলেই শুনানিতে হাজির হয় নেই এটাই চিরসত্য।

মীর শওকত আলীর মিথ্যা সনদ দেওয়ার সাথে যারা জড়িত ছিলেন এবং ২০২১ থেকে ২০২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত জেলা প্রশাসক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চিঠির জবাব দিলেন না তাদেরকে চিহ্নিত হবে ও রাষ্ট্রের টাকা ফেরত আনতে হবে এবং সৈয়দ ফারুক আহম্মদের কোঠায় চাকরি বাতিল করে আইনের আওতায় আনতে হবে ।

এই বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা, বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব মহোদয়, মহাপরিচালক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট , এর কাছে এটাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও গণমাধ্যম কর্মীদের দাবি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।