ঢাকাশুক্রবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:৫৬
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডাক্তার ও জনবল সংকটে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সত্যের কন্ঠ
এপ্রিল ২৪, ২০২৫ ৩:১৫ অপরাহ্ণ
পঠিত: 9 বার
Link Copied!

গোলাম সরোয়ার, কুমারখালী (কুষ্টিয়া): কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার ও জনবল সংকটের পরেও সেবা প্রত্যাশিতদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামীমা আক্তার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৩৩ জন চিকিৎসকের বিপরীতে ২৬টি শূন্য। এর মধ্যে ১১টি কনসাল্টেন্ট পদের ১১টিই শূন্য। অফিস সহায়কের ৩টি পদের ৩টিই শূন্য। ১৬টি পিয়ন পদের ১৫টি পদই শূন্য। ২টি আয়া পদই শূন্য। ৩টি ওয়ার্ডবয়ের মধ্যে ৩টি পদই শূন্য। ৩১টি সেবিকা পদের ১৬টি শূন্য। ২০০৯ সালে ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। সে সময় রোগীর খাবার ও ওষুধের অনুমোদন দেয়া হলেও চিকিৎসক পদগুলো ফাঁকা ছিল। ২০২১ সালে চিকিৎসকের অনুমোদন দেয়া হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। আরো জানা গেছে, প্রায় ৪ লাখ মানুষের একমাত্র ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে ৯০/১০০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ জন রোগী সেবা নেন। শয্যা, ওষুধ, খাবার ও জনবলসহ নানামুখী সংকট হলেও সেবা প্রত্যাশিদের সেবা প্রদান চলছে। জনবল না থাকায় অপারেশন থিয়েটার ও ইসিজি যন্ত্র থাকলেও তা বন্ধ রয়েছে। উপায়ান্তর না পেয়ে অনেক সময় চিকিৎসকরা ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। গতকাল ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে সরজমিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে পুরুষের তুলনায় নারী ও শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। রোগী ভর্তি আছেন প্রায় শতাধিক। শয্যা সংকটে বারান্দা ও মেঝেতে ঠাঁই নিয়েছেন অনেকে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, নারীদের লম্বা লাইন। এ সময় দেখা যায় প্রায় অর্ধশতাধিক নারী টিকেট কেটে ও টিকেটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। আউটডোরে রুগী দেখছেন স্যাকমো চিকিৎসকেরা।বহির্বিভাগ ও ভর্তি রোগী এবং স্বজনরা জানান, ‘যেসব রোগীর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ছে, তাদের জেলা হাসপাতাল বা বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। মানুষ নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অন্তঃসত্ত্বা নারীরা। অনেকেই নরমাল ডেলিভারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। কিন্তু নানাবিধ কারণে যাদের স্বাভাবিক প্রসব হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় সিজারের মাধ্যমে তাদের সন্তান প্রসব করানো হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামীমা আক্তার বলেন, নানা সংকটের মধ্যেও সেবা প্রদান চালিয়ে যাচ্ছি। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ চালু হওয়ার পরে সবাই পোষ্টিং নিয়ে চলে যাচ্ছেন। এতো সংকটের মধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালানোই অসম্ভব হয়ে পরেছে। ২ জন এমবিবিএস ডাক্তার আর ৫ জন স্যকমো চিকিৎসক দিয়ে চালানো হচ্ছে হাসপাতাল। আউটডোর ও জরুরী বিভাগে রুগী দেখছেন স্যাকমো চিকিৎসকেরা । তারপরও থেমে নেই সেবা প্রদান। তিনি জানান সারা বাংলাদেশেই দেখা দিয়েছে ডাক্তার সংকট।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।