ঢাকাবৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:১০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

“প্রতারক কামরুল ও বাবুকে দেশের বিভিন্ন স্থানে খুঁজে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগীরা”

সত্যের কন্ঠ
জুন ৮, ২০২৩ ৯:৪০ অপরাহ্ণ
পঠিত: 679 বার
Link Copied!

কামরুল ও বাবু নামের দুই প্রতারককে দেশের বিভিন্ন স্থানে খুঁজে বেড়াচ্ছে্ন ভুক্তভোগী নবাবগঞ্জের অনেক মানুষ। জীবন সংসার চালানোর শেষ সঞ্চয় টুকু হারিয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে খুঁজে চলছেন কামরুল বাবুকে।

ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানাধীন জয়নগর সাকিনস্ত আগলা ব্রিজের পশ্চিম দিকে রাস্তার পাশে ইজিবাইক তৈরিও মেরামতের দোকান দিয়ে ব্যবসা করত প্রতারক কামরুল (৪১) ও বাবু (৩৯)। বিগত ২২-০৫-২৩ ইং তারিখে পূর্ব পরিচয় যে ধরে একই এলাকার মহাসিন (০৩) তিনটি ইজিবাইকের বডি বাড়ানোর জন্য নগদে (৩,০০০০০) তিন লক্ষ এবং এবং ব্যাটারি ক্রয়ের জন্য আরো (২,৩৫,০০০)দুই লক্ষ পয় পয়ত্রিশ হাজার টাকা জমা দেন।

পরবর্তী এক মাসের মধ্যে বডি ও ব্যাটারি বুঝিয়ে দেবার কথা কামরুল ও বাবুর।একইভাবে নারায়ণ ঘোষ, বাবুল খান, মোহাম্মদ সেলিম সিকদার, মোঃ মাছুদ গংদের কাছ থেকে আরো নগদে মোট (১৩,০০০০০) তের লক্ষ টাকা ইজিবাইকের বডি ও ব্যাটারি দেবার নাম করে হাতিয়ে নেয় কামরুল, বাবু প্রতারক চক্র।

জানা যায়, স্থানীয় ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অংকের টাকা ঋণ ও নিয়েছে এরা। উক্ত ভুক্তভোগীরা ছাড়াও উক্ত এলাকা ছাড়াও তার আশ পাশের এলাকার অনেক মানুষের কাছে থেকে এক লক্ষ,পঞ্চাশ হাজার এভাবে করে আরো প্রায় (৬০,০০০০০) ষাট লক্ষধিক টাকা এবং ব্যাংক এনজিও সহকারে কামরুল ও বাবু প্রায় দুই আড়াই কোটি টাকা নিয়ে উদাও হয়েগেছে। কামরুল (৪১) পিতা আঃহালিম দেওয়ান, বাবু (৩৯) পিতা মোঃ কফিল উদ্দিন, দুজনেই নবাবগঞ্জ উপজেলার ১ নং ওয়ার্ডের ৩০৪ হোল্ডিং এর কুঠিবাড়ি বসবাস করত।

উক্ত বাড়িটি প্রতারক বাবু (৩৯) এর পিতা এবং প্রতারক কামরুল (৪১) এর শ্বশুর কফিল উদ্দিনের।অনুসন্ধানে জানা যায় প্রতারক বাবুর পিতা কফিল উদ্দিন,বাবুর বোন রনি আক্তার এই প্রতারণার সাথে জড়িত। কামরুল, বাবু, কফিল উদ্দিন এবং রনি আক্তার সবকিছু নিয়ে উধাও হওয়ার রাত্রে প্রতারক বাবু ও রনি আক্তারের বৃদ্ধা মা, যিনি প্রতারক কামরুলের শাশুড়ি এবং কফিল উদ্দিন এর স্ত্রী ফরিদা বেগমকে ঘুমের ঔষাধ খাইয়ে অচেতন করে ফরিদা বেগমকে রুমের ভেতরে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়।

বিগত ২৩-০৫-২৩ ইং তারিখে প্রতারিত মহসিন দোকানে গিয়ে দেখেন দোকান বন্ধ, পরবর্তীতে প্রতারিত অন্য সবাই কামরুল ও বাবুকে খোঁজাখুজি করে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখেন বৃদ্ধা ফরিদা বেগম ছাড়া বাড়িতে আর কেউ নাই। মহাসিন, নারায়ণ ঘোষ গংরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে স্থানীয় নবাবগঞ্জ থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করলে জানা যায় বিষয়টি তদন্ত চলতেছে খুব শীঘ্রই আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশাবাদী।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।